হিমসাগর আম ।। Himsagor Mango
হিমসাগর আম ।। Himsagor Mango

হিমসাগর আম ।। Himsagor Mango

Price: ৮০ - ১১০
Minimum Order: ১০

Mobile Number: 01310029954

যোগাযোগ করুন

সাপ্লাইয়ারের তথ্য

Eibbuy Agro ফকিরাপুল ঢাকা Bangladesh 2 Years Verified Supplier

01310029954

Chat With Supplier

পাইকারি পণ্যের দাম সর্বদা পরিবর্তনশীল। পণ্যের বর্তমান দাম জানতে উপরের মোবাইল নম্বরে সাপ্লায়রকে সরসরি ফোন করুন। বিদেশি সাপ্লায়ার কে LC বা TT তে দাম পরিশোধ করুন ৷ দেশী সাপ্লায়ার কে ক্যাশ অন ডেলিভারী বা ফেস টু ফেস ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন । কোন ভাবেই অগ্রিম টাকা পয়সা লেনদেন করবেন না। কুরিয়ারে কন্ডিশনে পণ্য হাতে পেয়ে টাকা প্রদান করবেন৷ আপনার অসাবধানতায় কোন প্রকার প্রতারণার স্বীকার হলে আমরা দায়ী নই ৷ অনলাইনে পন্য ক্রয়ের আগে সমস্ত সিক্যুরিটি গ্রহন করে নিন ৷

eibbuy Ads

Product details

Are you looking for the best Bangladeshi mango suppliers? Basically, there are a lot of wholesale mango markets all over Bangladesh.  Rajshahi –Chapai districts are the main source of Bangladeshi sweet mangoes. Baneswar is the biggest wholesale Bazar in Rajshahi and Kansat Bazar is the largest mango hat in Chapainawabganj. Most of Bangladesh mango suppliers collect mangoes from those bazaars.
Mango wholesale price differs from place to place but from us, you get the best rate of mangoes. If you want to collect cheap wholesale mangoes then we are ready to provide you the best wholesale price of mango in Bangladesh.

আমকে বলা হয় ফলের রাজা।  পৃথিবীতে যত ধরণের সুস্বাদু ফল আছে,তার মধ্যে আমের অবস্থান সবার উপরে।  বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি  জেলাতেই কম বেশি আম উৎপাদিত হয়, তবে বাহারি রঙের আর সুস্বাদু আমের কথা বললে সবার আগে আসে রাজশাহীর নাম। রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ কে বলা হয় আমের রাজধানী। এখানকার  বিখ্যাত আম দেশের সব অঞ্চলে সমান সমাদৃত। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে  ইউরোপ আমেরিকার বাজারে  অবস্থান করে নিয়েছে এই আম।
বর্ণ, গন্ধ,স্বাদ,আকৃতি এবং অঞ্চলের  ভিন্নতায় আম কয়েক শত জাতের হয়ে থাকে।  যেমনঃ

হিমসাগর, ল্যাংড়া, ক্ষিরসাপাত,আম্রপালি(রূপালি আম), গোপালভোগ, ফজলি, আশ্বিনা, বোম্বাই, অগ্নি, অমৃত ভোগ, আলফাজ বোম্বাই, আরিয়াজল, আরাজনমা, আলম শাহী, গিলা, গোলাপবাস, আনারস, ইলশাপেটি, কলাচিনি, কাঁচামিঠা, কালিয়া, কৃষ্ণচূড়া, টিক্কাফারাশ, টিয়াকাঠি, কালাপাহাড়ী, কালিভোগ, কালুয়া, কাঞ্চন খোসাল, কাজলা সিন্দুরি, কিষাণ ভোগ, কোহিনুর, কোহিতুর, কুয়া পাহাড়ি, টোফা, কাজল ফজলি, কাইয়া ডিপি, কাটাসি, গোলাপ খাস, গোলাপ বাস, গোল্লা, গুল্লি, গৌরজিত, গুলগুল্লি, চেপি, চরবসা, চম্পা, চন্দন খোস, চিনি কালাম, চিনি বড়ই, চিনি পাতা, ছাবিয়া, ছানাজুর, ছফেদা, জালী বান্ধা, ভাঙা, জিলাপির ক্যাড়া, জোয়ালা, জিতুভোগ, গোবিন্দভোগ, জর্দা, জর্দালু, ত্রিফলা, বাওয়ানী, বাউনি লতা, তাল পানি, দার ভাঙা, দর্শন, দাদভোগ, দেউরি, দিলসাদ, দোফলা, দিল্লির লাডুয়া, দুধিয়া, দেওভোগ, দুধসর, বড়বাবু, নারিকেলি, নারকেল পাথী, নয়ন ভোগ, প্রসাদ ভোগ, জিতুভোগ, সীতাভোগ, বোগলাগুটি, পাথুরিয়া, ফজলি কালান, ফনিয়া, বারমাসি, বোতল বেকি, বোতলা, বড়শাহী, বাতাসা, বাউই ঝুলি, বিড়া, বেগম পছন্দ, কমল পছন্দ, বেল খাস, বিমলা, বিশ্বনাথ, বোম্বাই কেতুল্লা, বদরুদ্দোজা, বোম্বাই গোপাল ভোগ, বোম্বাই খিরসা, বউ ভুলানী, বৃন্দাবনী, সাহা পছন্দ, বাদশা ভোগ, ভাদুরি, ভবানী, ভবানী চৌরাস, ভারতী, মাল ভোগ, মাংগুড়া পাকা, মিসরীদাগী, মিসরী ভোগ, মিসরী দানা, মিসরী কান্ত, ভূত বোম্বাই, মতিচুর, মোহন ভোগ, মোহন পছন্দ, রাজরানী, রাম প্রসাদ, রানি পছন্দ, কাজী পছন্দ, বিলুপছন্দ, রানি ভোগ, রাজ ভোগ, কালিভোগ, জিবাভোগ, লাক্ষৌ, লাদুয়া, লাডুয়া, লোরাল, লালমুন, লক্ষণ ভোগ, লতা খাট, লতা বোম্বাই, নাবী বোম্বাই, লোহাচুর, শ্যাম লতা, রসবতী, সাটিয়ার ক্যাড়া, সাদাপাড়া, সবজা, সুবা পছন্দ, শাহী পছন্দ, সরিখাস, শরিফ খাস, সিন্দুরি, সারাবাবু, শোভা পছন্দ, সুলতান পছন্দ, সফদরপছন্দ, সূর্যপুরী, সুরমাই ফজলি, হায়াতী, খুদি ক্ষিরসাপাত, ক্ষিরপুরি, ক্ষিরমন, ক্ষির টাটটি, ক্ষির বোম্বাই, বেলতা, হাড়িভাঙা, বৈশাখী, গৌড় মতি, হুক্কা, লাড়ুয়ালী, ডালভাঙা, মণ্ডা, মিছরী দমদম, নীলাম্বরী, খান বিলাস, বাতাসা, মনাহারা, পাথুরিয়া, তোহ্ফা, ফোনিয়া, মধুচুষকি, মধুমামি, নকলা, মোহিনিসিন্দুরী, ভুজাহাড়ি, সন্ধ্যাভারুতি, পদ্মমধু, অমৃতভোগ, লতারাজ, বৃন্দাবনি ইত্যাদি।
এসব আমের মধ্যে বাংলদেশে জনপ্রিয়  কয়েকটি  জাত হচ্ছে- নাগ ফজলি,হিমসাগর,হাড়িভাঙ্গা, ক্ষীরভোগ, মোহনভোগ, রাজভোগ, রানিভোগ,চোষা, বউ সোহাগী, ল্যাংড়া,  আলতাপেটি, রানি পছন্দ, দুধ সর, আম্রপালি, লক্ষ্মণভোগ, মল্লিকা, মিছরি দানা ইত্যাদি।

আমের জাতের যেমন ভিন্নতা আছে,  তেমনি এই মৌসুমী  ফলটির  একেকটি জাত একেক সময়ে বাজারে আসে।তবে আম পাকার সময়কাল  মে মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত  বিস্তৃত। আগে আম চাষীরা অধিক মুনাফার আশায় নির্দিষ্ট  সময়ের আগেই অপরিপক্ব  আম বাজারে  নিয়ে আসতো। এই অপরিপক্ক আমের বাজারজাত ঠেকাতে কয়েক বছর ধরে রাজশাহীতে আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। বেঁধে দেয়া সময় অনুযায়ী, এ বছর ১৫ মে থেকে গুটি আম পাড়া শুরু হয়। এরপর ২০ মে থেকে গোপালভোগ, ২৫ মে থেকে লক্ষণভোগ ২৮ মে থেকে হিমসাগর বা খিরসাপাত, ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া এবং ফজলি ও আম্রপালি ১৬ জুন থেকে নামানো শুরু হয়। এছাড়া আশ্বিনা জাতের আম ১ জুলাইয়ের আগে চাষীরা গাছ থেকে নামাতে পারবেন না।
আমের মৌসুমে সবার আগে দেখা যায় গোপালভোগ জাতের আম। গোপালভোগ আম মাঝারি আকারের, পাকা আমের রং হলুদাভ সবুজ, পাকলে খোসা পুরোপুরি হলুদ হয় না, আঁটি পাতলা, আঁশ নেই ও মিষ্টি। তারপর ওঠে হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি আম। এ জাতের আমও পাকলে হলুদাভ সবুজ হয়, মাঝারি আকারের, কমলা শাঁস, খুব মিষ্টি, সুঘ্রাণযুক্ত ও  ভালো রকমের সুস্বাদু ।দেশের তৃতীয় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি  পায়  ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাতি আমটি’।

এরপর আসে ল্যাংড়া। ল্যাংড়া আম অনেকটা আয়তাকার গোল, হালকা সবুজ রঙের খোসা, পাকলেও হলুদ হয় না, খোসা পাতলা, হলুদ শাঁস, ভালোভাবে না পাকলে আম খেলে মুখ চুলকাতে পারে। সুঘ্রাণের সুখ্যাতি রয়েছে ল্যাংড়া আমের। এ সময় লক্ষ্মণভোগ বা লখনা আমও পাওয়া যায়। পাকলে এ জাতের আম উজ্জ্বল হলুদ হয়ে যায়, বোঁটার কাছে লালাভ রং ধরে। এ জন্য একে রঙিন আমও বলে। ঘ্রাণ ভালো। রাজশাহীতে পাওয়া যায় লখনা আম।
এরপর ওঠে হাঁড়িভাঙা আম—রংপুর অঞ্চলে এ জাতের আম পাওয়া যায়। ভরা মৌসুম শেষ হলেও গাছে ও বাজারে আরও কিছু জাতের আম থাকে। এরপর আসে  আম্রপালি। এই আমের খোসা মসৃণ বা তেলতেলে, ছোট থেকে মাঝারি আকারের আম, পাকা আম হলুদাভ সবুজ, অগ্রভাগ কিছুটা সরু, শাঁস কমলা ও অনেক মিষ্টি, পাকা আম্রপালি আম বেশ কয়েক দিন ঘরে রাখা যায়। সারা দেশেই আম্রপালি আম পাওয়া যায় এবং এটি দেশব্যাপী  ব্যাপক জনপ্রিয়  একটি আম । ফজলি ও আশ্বিনা আসে মৌসুমের শেষের দিকে । বলতে গেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যত আম হয়, তার অর্ধেকই আশ্বিনা।এটি মৌসুমের সর্বশেষ আম।  এটির শাঁস হলুদ এবং হলুদাভ কমলা। গড় ওজন ৫৫০ গ্রাম। এর মিষ্টতার পরিমান ১৯%। গুনগত মানের দিক থেকে এটি কিছুটা নিম্নমানের  হলেও মৌসুমের শেষ আম হওয়ায় এর চাহিদা এবং বাণিজ্যিক  কদর অন্য অনেক জাতের তুলনায় ঢের বেশি।

তুমুল চাহিদা সম্পন্ন এই ফলটির রয়েছে ব্যাপক অর্থনৈতিক  গুরুত্ব।মৌসুমী   আম বাণিজ্যে  দেশের শ্রমশক্তির  একটি বড় অংশ নিয়োজিত থাকে এবং দেশের অর্থনীতিতে আমের অবদান নেহায়েত  কম নয়।  রাজশাহী আঞ্চলিক কৃষি অফিসের তথ্যমতে, ২০১৮ সালে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোরে আমের উৎপাদন হয় ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৩৬১ টন। গত বছর  (২০১৯) উৎপাদন হয়েছে ৮ লাখ ৩১ হাজার টন।  ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চার জেলায় আম থেকে আয় ছিল ৩ হাজার ৫৯৫ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছর হয়েছে ৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এছাড়া আমের মৌসুমে এখানে আট থেকে দশ  লাখ লোক আমগাছ পরিচর্যা, বাগান পরিষ্কার রাখা, আম সংগ্রহ, বিক্রি ও পরিবহন ইত্যাদি কাজ করে এবং প্রাপ্ত আয় দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।

আমের মৌসুমে দেশের বড় বিভিন্ন স্থানের আড়তদার পাইকারি  ব্যবসায়ীরা রাজশাহীর বিভিন্ন আমের বাজার কিংবা সরাসরি  আম বাগান থেকে আম সংগ্রহ  করে নিয়ে আসেন। রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের হাট বসে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে।এ হাটে প্রায় ১৫০টি আমের আড়ত আছে। আমের মৌসুমে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে আমের বেচাকেনা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা এখানে আসেন আম কিনতে।আম বিক্রি হয় মণ প্রতি ৮০০ -২০০০ টাকায়।  এ বাজারটিতে মূলত  পাইকারি  দরে আম বিক্রি হলেও খুচরা  আমও কিনতে পাওয়া যায়।  এছাড়া বেলপুকুর, শাহবাজপুর, বিড়ালদহ, শিবপুরহাটসহ বিভিন্ন গ্রাম গুলোতেও বসে অস্থায়ী আমের বাজার।
আমের রাজধানী খ্যাত  চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে বসে বাংলাদেশের বৃহত্তম আমের বাজার।এর অবস্থান জেলা সদর থেকে ২৩ কিলোমিটার  দূরে। সোনা মসজিদ স্থলবন্দরের সড়কে অবস্থান হওয়ায় এই বাজারটি বেশ জমজমাট থাকে। আমের সময়ে প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে  এই আম বাজার। বাজারে প্রতিদিন  গড়ে সাড়ে চার কোটি টাকার আম কেনাবেচা হয়। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আড়তদাররা এখানে আসেন আম কিনতে।
ঢাকায় দেশের বৃহত্তম ফলের আড়ত হচ্ছে বাদামতলী ও ওয়াইজঘাট । দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাভার্ড ভ্যানে করে আম এখানে পাঠানো হয়। এখান থেকে আম আবার ছড়িয়ে যায় ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গার পাইকারি  ও খুচরা বিক্রেতার  কাছে।  এভাবেই আমের পুরো মৌসুমজুড়ে সুস্বাদু জনপ্রিয়  আমের ব্যবসা চলতে থাকে।

#চাঁপাই শপ এর শুরুর গল্পটা নিশ্চয় অনেকের জানা। ২০১৫ সালে চাঁপাই নবাবগঞ্জের অর্গানিক আম সরবরাহের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিলো আমাদের যাত্রা। আমাদের সততা এবং আপনাদের ভালবাসা ও আন্তরিক সহযোগিতায় বর্তমানে বেশ কিছু খাঁটি প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করছি আমরা।

চলুন আবারো তুলে ধরা যাক চাঁপাই শপ এর শুরুর গল্পটা..
#আমাদের যেভাবে আম ব্যাবসায় আসা,
দেশ ভাগের পূর্বে ভারতবর্ষে মালদা জেলা আমের জন্য বিখ্যাত ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় র‌্যাডক্লিফ রোয়েদাদ অনুসারে নবাবগঞ্জ এবং তার পার্শ্ববর্তী মোট পাঁচটি থানাকে মালদহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে পূর্ব পাকিস্থানের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কালের পরিক্রমায় এ পাঁচটি থানা নিয়ে গঠিত বর্তমানে স্বাধীন  বাংলাদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। দেশের  আম উৎপাদনের সিংহভাগই এ জেলায় উৎপাদিত হয়ে থাকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলাটি আম উৎপাদনে অন্যতম। জেলার ৫টি উপজেলায় আম বাগানের জমির পরিমান ২২ হাজার ৩০০ হেক্টরের মধ্যে শিবগঞ্জে প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়ে থাকে। এ জন্য আমকেই শিবগঞ্জের অর্থনীতির ক্ষেত্রে প্রধান চালিকাশক্তি বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। অনেক সময় শিবগঞ্জের আম কে অর্থভান্ডার বলা হয়ে থাকে। এই উপজেলার কানসাটে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম আম বাজারটি অবস্হিত। এক পরিসংখ্যান মতে এ আম বাজারে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার আম ব্যাবসা পরিচালিত হয়ে থাকে।

ফলের রাজা আম। আর এ আম খেতে পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুজে পাওয়া দূরোহ ব্যাপার। বাজারে গেলে এমন পাকা আমের গন্ধে ভরে ওঠে মন। কিন্তু এ সু-স্বাদু আম এখন নানান কেমিক্যালে ভরা। যা আমাদের দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। প্রায় এক দশক পূূর্বেও যখন লোকজন বাজার থেকে আম কিনতেন তখন তারা ঘেঁটে ঘেঁটে দেখতেন আম কোনটা পঁচা পড়লো।পঁচা গুলো বাদে ফ্রেশগুলো নিয়ে এক গাল হাসি নিয়ে ফিরে আসতেন বাসায়।


এখন তারা বাজারে গিয়ে ঠিকই আম ঘেঁটে দেখেন। তবে পঁচা নয় বরং ফ্রেশ আম দেখলেই তাদের কপালে ভাঁজ পড়ে, না জানি কী না কী মেডিসিন দেয়া। উলটো পঁচা আম দেখলে আমের উপরে মাছি উড়তে দেখলেই স্বস্তির  নিঃশ্বাস ফেলেন, যাক এ সাইডে মনে হয় স্প্রে পড়ে নি। গত কয়েক বছর ধরে আমে ফর্মালিন,কার্বাইড ব্যাবহার এবং এর ক্ষতিকারক বিষয়গুলো নিয়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারনার ফলে ভোক্তাগণ এ ফলটি খেতে ব্যাপক অনিহা প্রকাশ করছে। ফলস্বরুপ এ জেলার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে আমচাষী সহ এর সাথে জড়িত সকলস্তরের লোকজন। আমচাষীরা আম উৎপাদনের পর তারা কানসাট অথবা জেলার অন্য কোন পাইকারি বাজারে বিক্রি করে থাকে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যাপারী-পাইকাররা সেই আম কেনার পর অধিক লাভ এবং সুন্দর রঙের আশায় বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যাবহার করে। যার ফলে কেমিক্যালযুক্ত আম খেয়ে ভোক্তাগণ যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমনি আমচাষী সহ এর সাথে জড়িত সকল লোকজন দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

আমরা আমের শহর  চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার অধিবাসী। এখানেই আমাদের জন্ম, বর্তমানে অবস্থানও করছি এখানেই। আম এর মাঝেই বেড়ে উঠা, গাছ থেকে সারাদিন আম পেড়ে খাওয়া দিনের পর দিন রাতের পর রাত আমবাগানে সময় কাটানোতে অভ্যস্ত আমরা। আমাদের পূর্বপুরুষ বাপ দাদা বংশপরম্পায় সকলেই আমচাষী। তাইতো আমরা গর্বকরে বলতে পারি আম সম্পর্কে আমাদের চেয়ে বেশি কে বা আর জানে ?

যাহোক আমরা কিছু শিক্ষিত,সচেতন যুবক আমচাষী উপরের বিষয় গুলো অনুধাবন করার পর নিজস্ব এবং লিজ নেয়া বাগানগুলোতে সম্পুর্ন প্রাকৃতিক পদ্ধতি ও সমন্বিত বালাই দমন ব্যাবস্থাতে আম উৎপাদন করে বাগান থেকে সরাসরি ভোক্তার নিকটে পৌছে দেয়ার জন্য ২০১৫ ইং সালে “চাঁপাই শপ” প্রতিষ্ঠা করেছি।

সব কিছুতে ভেজাল খাবো কী ? অনেকেই দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। ঠিক ঠিক বলে মাথা নাড়েন বাকিরা। তবে চাই না মাথা নাড়তে। আমরা চাই স্রোতের উলটো পথে হাঁটতে। আমরা নিতে চাই একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা মানুষের ঘরে পৌছে দিতে চাই ফলের রাজা আম। এমন সব আম যে আমে ফ্রেশনেস দেখলে কারো কপালে ভাঁজ বসবেনা। পঁচে যেতে দেখলে পীলে চমকাবেনা।

কারন আমরা একটা ব্রীজ বানাতে চাই। এ ব্রীজ শুরু হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগান থেকে। শেষ হবে আমাদের ডাইনিং টেবিলে। এ ব্রীজের খুটি ধরবো আমরা। আমাদের খুটি গুলো শুরু হবে বাগানের কাঁচা সবুজ আমের গোড়া থেকে ক্রেতাদের হাতে বুঝিয়ে দেয়া পর্যন্ত। আমরা নিশ্চয়তা দিতে চাই। আমকে আম হিসেবে বাঁচিয়ে রাখতে। আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা আমকে যেইভাবে সৃষ্টি করেছেন আমরা চাই সেই প্রকৃত প্রাকৃতিক রুপেই আমকে আপনার হাতে পৌছে  দিতে। যাতে ইনশাআল্লাহ থাকবেনা এক বিন্দু কৃত্রিম রাসায়নিক।

আমরা আমাদের বাগান গুলো বাপ দাদা তথা পূর্ব পুরুষ থেকে অর্জিত জ্ঞান এবং চাঁপাইনবাগঞ্জ আম গবেষনা কেন্দ্র ও শিবগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তার তত্বাবধানে রক্ষনাবেক্ষন ও দেখভাল করছি।

পরিশেষে একটি  কথা না বললে নয় সুন্দর সু-স্বাদু সুমিষ্ট আসল আম খেতে চাইলে অবশ্যই আমাদের চাঁপাইয়ের আম খেতে হবে। তাই আমরা সকল প্রকার কেমিক্যাল মুক্ত নিরাপদ আম ১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে আপনাদের ঘরে পৌছে দিতে সদা প্রস্তুত এ ক্ষেত্রে আমাদের উপর পুরো আস্থা ও ভরসা রাখতে পারেন। আপনার পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশুদ্ধ নিরাপদ আম নিয়ে আপনাদের দুঃচিন্তা দূর করতেই আমাদের এ প্রয়াস। নিজে ভালো থাকুন, ভালো রাখুন আপনার চার পাশের সবাইকে এই প্রত্যশা রইলো।

Review this Product:
User Rating

4.1 average based on all reviews.

Talk With Supplier

I have read and agree to the Privacy Policy.

আরো পণ্য সমূহ

পাইকারি সুরমা ফজলি আম

৮০ - ৮০

বিস্তারিত পড়ুন

পাইকারি আমরূপালি আম ।। Omropali mango

১০০ - ১২০

বিস্তারিত পড়ুন

চায়না ৩ লিচুর দাম

৫০০ টাকা - ৫০০ টাকা

বিস্তারিত পড়ুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js